আল-আমিন গাজী ॥ নগরীর কিশোরী ধর্ষনকারী কথিত মাওলানা হুমায়ন কবিরের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছে আদালত। গত ১৫ই অক্টোবর মেট্ট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক রিমান্ড শুনানী শেষে বিচারক এ আর্দেশ দেন । এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান গত ৩ই অক্টোবর আদালতে আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৫শে আগস্ট কোতয়ালী মডেল থানায় কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হুমায়ন কবিরকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা আসমা বেগম (যাহার মামলা নং ৮৩)। ধর্ষনের এক মাস পর গত ২৯শে সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত চীফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসর্মাপন করেন ধর্ষক কথিত মাওঃ হুমায়ন কবির। উলে¬খ্য নগরীর ১০নং ওর্য়াড কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর স্থানীয় বাসিন্দা আঃ রশিদ মিস্ত্রীর জামাতা মাওলানা হুমায়ন কবিরের ত্রাসের শিকার একই কলোনীর বাসিন্দা আছমা বেগমের মেয়ে (ছদ্দনাম) রুপালী। যুক্তিবাদি মাওলানা সাইন বোর্ড লাগিয়ে নানান অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছে হুমায়ন কবির। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত রমজান মাসে রুপালী আঃ রশিদ মিয়ার মেয়ে রিগানের ঘরে সেলাই মেশিনের কাজ করতে গেলে রুপালীর উপর শকুনি নজর পরে রিগানের স্বামী হুমায়ন কবিরের। গত ২/৩ মাস পূর্বে রিগানের বাসায় কাজ করতে করতে রাত হয়ে যায় । সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রুপালীকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে নেশাগ্রস্ত করে হুমায়ন কবির বিছানায় নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে । পরে সকালে উঠে রুপালী দেখে তার পাশে কবির মাওঃ শুয়ে আছে । তখন রুপালী কান্নাকাটি করলে তাকে মেরে ফেলার ও তার সাথে কবিরের শারীরিক মেলা মেশার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয় হুমায়ন কবির । তবে স্থানীয়রা জানায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, মাওঃ হুমায়ন কবিরের স্ত্রী রিগান শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য । রিগানের সাথে ৫/৬ মাস শারীরিক মেলামেশা করতে নিষেধ করে ডাক্তার। সে সুবাদে ভন্ড প্রতারক কথিত মাওঃ হুমায়ন কবির তার স্ত্রী রিগানকে বলে রুপালীকে আমি চাই । রুপালীকে শারীরিক মেলামেশা করতে তুমি বাধ্য করবে। যদি না করো, তা হলে তোমাকে আমি তালাক দিবো। কিন্তু স্বামীর কথা রাখতে রিগান রুপালিকে ভয় দেখিয়ে তাকে হুমায়ন কবিরের সাথে শারীরিক মেলামেশা করতে বাধ্য করে । ঘটনার দিন ২৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে প্রতিদিনের মত হুমায়ন কবিরের যৌন চাহিদা মিটাতে রুপালীকে তার বাসার ২য় তলায় নিয়ে গেলে রুপালীর মা আছমা সহ স্থানীয় জনতা মিলে তাদের অ-সামাজিক কর্মকান্ডে হাতে নাতে আটক করে । পরে হুমায়ন কবিরকে রক্ষা করতে তার স্ত্রী রিগান সাহায্য করে বলে জানায় স্থানীয়রা । তবে কোতয়ালী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষনের শিকার রুপালীকে থানায় নিয়ে যায়। এ দিকে রুপালী জানায়, তার সাথে ভন্ড মাওঃ কবিরের শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ইন্টানেটে ছড়িয়ে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক মেলামেশা বাধ্য করে। অপর দিকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত ঐ কলোনীর সাধারন বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানায়,ভন্ড কথিত মাওঃ হুমায়ন কবির ধর্ষন,চাদাঁবাজি সহ নানান অ-সামাজিক কাজে জড়িয়ে রয়েছে । এদিকে ধর্ষিতা রুপালী গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় লোকজনের সমলোচনা ও লজ্জার ভয়ে বসত ঘরের উপরের খুটির সাথে ওরনা বেধেঁ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সাথে সাথে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে । অপর দিকে চিকিৎসক জানায়, রুপালীর অবস্থা আসংকা জনক তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বাকিটা আল¬¬াহর উপর। অপর দিকে ধর্ষিতার মা আসমা বেগম বলেন,আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই । যারা আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে আইনে মাধ্যমে তাদের যেন উপযুক্ত বিচার হয়। আমি ঐ ভন্ড মাওলানার ফাসি চাই । যাতে আমার মেয়ের মত সমাজের আর কোন মেয়ের সম্মান হারাতে না হয়। এ বিষয় সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান কাশিপুর ব্রাক অফিসের (প্রোগাম অরগানাইজেশন ) কর্মকর্তা আসমা আক্তারের সাথে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, কথিত ভন্ড মাওলানা হুমায়ন কবিরকে এখনো কেন চুরান্ত শাস্তি দেয়া হচ্ছে না? আমার বোধগম্য নয় । আমরা ধর্ষনের শিকার ভূক্তভূগিকে যতো প্রকার আইনী সাহায্য -সহযোগিতার প্রয়োজন আমরা সব বহন করবো এবং মেয়েটি যেন সামাজিক ভাবে আর দশটা মেয়ের মত সাভাবিক ভাবে বাচঁতে পারে, সে বিষয়টি ও আমরা খেয়াল রাখবো। এ বিষয় স্থানীয়দের দাবি মাওঃ হুমায়ন কবির আইনের মাধ্যমে যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply